A huge Store of Online such as Tips on Graphic Design,Outsourcing, Freelancing,Islamism,news portal,entertainment,sports and all others.

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭

কালজয়ি কায়েদ





কালজয়ি কায়েদ


পর্বঃ৪





তার পছন্দের  হামদ নাত দেশাত্মবোধক ও সমাজ সংস্কার মুলক সঙ্গীত নিয়ে  সংকলিত বেশ কয়েকটি বই ইতিমধ্যে নেছারাবাদ হিযবুল্লাহ দারুত্তাছনিফ হতে প্রকাশিত হয়েছে। হুজুর রহ বলতেন আজ  আমরা অধিকাংশ মুসলমান সমাজ সেবার মহান দায়িত্ব বর্জন করিয়া চলিয়াছি। অথচ প্রকৃত মুসলমান হবার জন্য আল্লাহ ওয়ালা সমাজ কেন্দ্রিক হওয়া উচিত। তিনি গরিব দুঃখি অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে  ইমদাদ ফান্ড গঠন ও পরিচালনা করেই ক্ষান্ত হননি একজন খ্যাতিমান স্বাস্থ্য  বিশারদ ও চিকিৎসক  হিসেবে   রোগিদের সেবায়ও তিনি ছিলেন আত্ম  নিবেদিত । আজ হুজুর রহ নেই কিন্তু তার এ খেদমত অব্যহত রাখার জন্য  হুজুর রহ প্রতিষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্য গবেষণা  কেন্দ্র’টিকে হাসপাতালে রুপান্তরের মাধ্যমে প্রতি শুক্রবার এখানে নারী ও  শিশুদের জন্য এবং প্রতি রবিবার পুরুষদের জন্য বিনামুল্যে ‍চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হুজুর রহ নিজে বায়োকেমিক চিকিৎসা পত্র লিখতেন ,ভেষজ চিকিৎসায় উদ্বুদ্ধ করতে নিজ কক্ষের সামনেই   ঔষধি গাছ গাছড়ার বাগান সহ এই চিকিৎসা মানোন্নয়ে গবেষণা কমিটিও গঠন করেছেন।হুজুরের ভেষজ গবেষণার এক উ েল্লখযোগ্য উদ্ভাবন  চায়ের বিকল্প –’জোসন্দায়ে আযিযি’ এছাড়াও তিনি দেশি গাছ গাছড়া ফলমুল থেকে যেসব খাদ্য পানিয়  এবং ঔষধ উদ্ভাবন করে গেছেন তাও বিজ্ঞান সম্মত  ও সমাদৃত।
 হুজুর রহ তার আলোচনায় প্রায়ই বলতেন –’দুর্নিতি ও দুস্কৃতির অভিশাপে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে আজ সারা বিশ্বের মানুষ। শা্ন্তি বিদায় নিয়েছে ব্যাক্তি ও সমাজ জিবন হতে এই দুর্নিতি দুস্কৃতিরই প্লাবনে। এ জাতিয় সমস্যার মোকাবেলা করতে প্রয়োজন সকল ধর্মের অনুসারিদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা’ প্রয়োজন সকল ধর্ম ও মতের অনুসারিদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম। ‍দুর্নিতিই যে এদেশের প্রধান সমস্যা তা হুজুর রহ বহু পুর্বেই চিন্হিত করে ১৯৭৪ সনেই প্রতিষ্ঠা করেন দুর্নিতি উচ্ছেদ কমিটি। হুজুর রহ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতেন  -’বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা  জনসংখ্যার বিষ্ফোরন কিংবা অন্য কিছুই নয় বরং দুর্নিতি এবং চরিত্র হীনতাই  বাংলাদেশের  প্রধান সমস্যা’। হুজুর রহ সন্ত্রাস,দুর্নিতি ,যুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুধু সভা সমাবেশ করেই ক্ষান্ত্ হতেন  না!মিছিল নামাতেন ,মিছিলে অংশ গ্রহন করতেন , নেতৃত্ব দিতেন। হুজুর রহ বলতেন – দুর্নিতি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য  ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। দুর্নিতিবাজ বিচারক ও আইনজীবি দ্বারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। বিচার কার্যের দির্ঘসুত্রতার কারনে অসহায় ও গরিব সর্বশান্ত হয়ে যায়।  এবং বিত্তশালী যালেমরা নিরিহ ও গরিবদের উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাবার  সুযোগ লাভ করে। বিচার ব্যবস্থার দির্ঘসুত্রতা অবিচারের সমর্থক। হুজুর কথা গুলো বক্তব্য বিবৃতিতে বলেই ক্ষান্ত হননি:১৯৬০ সনে তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন দারুল ক্বাযা (শালীশি আদালত)


চলবে………
 
Share:

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

Categories

Labels

Serch Wikipedia

সার্চ ফলাফল

Translate