পর্বঃ2
বিগত শতাব্দির শেষ ৯ টি দশক এবং চলমান
শতাব্দির প্রারম্ভর কাল, কালজয়ি এই ইনসানে কামেলের অলৌকিক জীবনের সাক্ষী হয়ে আছে. সেই
বাল্য বয়সেই জীবের প্রতি দয়া,সুদের বিনিময়ে ধার গ্রহনে অস্বীকৃতি,বড় মা’ অভিহিত
প্রতিপালনকারিনীকে দেখা বর্জন সহ তার থেকে প্রকাশ পেতে বেলায়েতের বহু
আলামত.ব্যাক্তিগত,পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সহ জীবনের প্রত্যেক ব্যাপারেই ইসলামী
জিন্দেগীর পূর্ন অনুসরন ছিল তার স্বভাবগত
বৈশিষ্ট.চিশতিয়া,কাদেরিয়া,নকশবন্দয়া,মুজাদ্দেদিয়া তরিকায় কামেল এই মহান মনীষী
স্বীয় মুর্শিদের নিকট যেমন পরম সে্নহভাজন ছিলেন,ঠিক তেমনি যু্েশ্রষ্ঠ বিশ্ব বরেন্য
কতিপয় মাশায়েখে এজামের সহাচর্য ও খেলাফত লাভে ধন্য হয়েছিলেন.এ এক এমন মানুষ যাকে
জীবনে একটি মুস্তাহাবও খেলাফ করতে কেউ দেখেনি.স্ত্রী
পুত্র পরিজন
,আত্মীয়- স্বজন,পাড়া প্রতিবেশি
এবং মুসলিম
অমুসলিম
নির্বিশেষে মানুষের
হক ও
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় তার দৃষ্ঠান্ত এ যুগে
বিরল. বিনস্ময়কর এই মহান
সাধকের গোটা
জীবনই বিশ্ব
মানবের জন্য
অনুসরনিয় পথ
প্রদর্শক. জাতি
ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের
জন্য আল্লাহ
তায়ালা এই
মহান সাধককে
গড়ে তুলেছিলেন বলেই নিজ
বুজুর্গিকে তিনি
যতই লুকানোর
চেষ্টা
করেছেন, আল্লাহ
তায়ালা ততই তাকে বিশ্ব
মানবের সামনে
প্রকাশ করে
দিয়েছেন একের
পর এক
অলৌকিক ঘটনার(
কারামতের) মাধ্যমে.
বিশেষ করে জযবা কালীন সময়ে অবলীলাক্রমে
তার কাছ থেকে যে সকল কারামত সমূহ প্রকাশ পেত, তা গোপন করার সুযোগ থাকত না.আত্মপ্রচার
বিমুখ এই মহামানবের অগনিত কারামত লাখো কোটি
মানুষকে যেভাবে তার জীবদ্দশায় বিস্মিত ও হতবাগ করেছে, ঠিক সেই ভাবে বিস্মিত ও হতবাগ
করেছে তার ইন্তিকালের পরও…..
চলবে…
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন