পর্বঃ৩
ইসলাম জিন্দেগির দৃষ্টান্ত হুজুর তার কর্ম ও আচরনের মধ্যে দিয়ে
আজিবন দেখিয়ে দিয়ে গেছেন. হুজুরের জীবনের লক্ষ ছিল-আল্লাহ.আর আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশির
জন্য ইসলাহে নফস,ইসলাহে কওম, ও ইসলাহে হুকুমতের প্রচেষ্টা করে গেছেন জীবনের শেষ মুহুর্ত
পর্যন্ত । তিনি বলতেন দ্বীন ইসলাম সিরাতে মুস্তাকিম এতে ইফরাত(চরমপন্থা)তাফরিত(শিথিলপন্থা)-এর
স্থান নেই। এই দুই পন্থীই ভ্রান্ত। এরা যেমন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তভূক্ত নয়,
তেমনি সালফে সালেহীন ও আউলিয়ায়ে কেরামেরও অনুগত নয়। এরা গোমরাহ ও বাতিল। তিনি আজীবন
এই গোমরাহ ও বাতিল পন্থীদের সিরাতুল মুস্তাকিমে অন্তভূক্ত করার জন্য কুরআন ও হাদিস
মোতাবেক যার যেখানে যতটুকু ত্রুটি রয়েছে তা
সংশোধন করার চেষ্টা করেছেন, মিটিং মিছিল আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছেন।
শুধু বাতিল বা বেদয়াতিই
নয়, অনেক হক পন্থী পীর মাশায়েখের তা’লীম তালকিনের ভিতর ডুকে পড়া সামান্য বিচ্যুতির
ও সংশোধন করতে পিঁছপা হননি। ফলে হক পন্থী পীর মাশায়েখ, ইসলাম চিন্তাবিদ ও ওলমায়ে কেরামগন যেমন কায়েদ সাহেব হুজুর রহ. কে ভালবাসতেন, তেমনি
তিনি যাদের সমালোচনা করে বই লিখেছেন,বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বিরুদ্ধ পন্থিরা্ও তাকে শ্রদ্ধা
নিবেদনে দ্বিধা করেননি। এই তো ছিলেন কায়েদ! কেবলমাত্র সমালোচনার উদ্দেশ্যে সমালোচনা
কিংবা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করেননিিএকমাত্র আল্লাহ ও তার রাসুল স. এর রাজি ও খুশির জন্য যা করার , যেভাবে
করার , কেবলমাত্র তাই করেছেন- এক্ষত্রে কে তার শত্রু হল কে তার মিত্র হল – এই সব কোনদিনই
পরোয়া করেননি। ইসলামের নামে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসের প্রতিরোধ, মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা,
সাম্প্রদায়িক ঐক্য ও জাতিয় ঐক্য গড়ে তোলা, দুর্নিতি দুষ্কৃতি মুক্ত সুখি সমাজ গড়া
সহ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে
গেছেন আমরন। যুগ যুগ ধরে এ ধারা অব্যহত রাখার জন্য হুজুর রচনা করে গেছেন
বহু অমুল্য গ্রন্থ,প্রতিষ্ঠা করে গেছেন মানব কল্যাণে নিবেদিত ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ৪২ টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নেছারাবাদ কমপ্রেক্স
ঝালকাঠি এবং জমিয়তে হিযবুল্লাহ,তোলাবায়ে হিযবুল্লাহ, ছাত্র হিযবুল্লাহ, হিযবুল্লাহ যু্বক সমিতি, হিযবুল্লাহ
শ্রমিক সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠন,সংস্খা ও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
চলবে………
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন