পর্বঃ৩
হুজুর রহ. যে শুধু তার কর্ম ও নীতির মধ্যেই অমর হয়ে আছেন তা
নয়, এই মহাপুরুষ তার অনুপম আখলাক ,আদর্শ ও
বুজুর্গীর মাধ্যমে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের হৃদয়ের কত গভীরে স্থান করে নিয়েছিলেন
এর প্রকৃষ্ট প্রমান মেলে তার জানাযায়.ঢাকার
বিভিন্ন দৈনিকের ভাষায়, হুজুর রহ.- এর জানাযায় অংশগ্রহন কারী মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায়
পাচঁ লক্ষাধিক.বহু জাতিয় পত্রিকার ভাষ্যমতে,সেদিন ১০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে রাস্তাঘাট
জনতার ভীরে অচল হয়ে পরেছিল. হুজুর রহ. শুধু মুসলিমদেরই প্রিয় ভাজন ছিলেন না .অমুসলিমরাও
তার সাহচর্যে হয়েছেন অনুরক্ত ও ভক্ত.
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সর্বশ্রেনির মানুষই হুজুর রহ.এর কাছে আসতেন;পরম আস্থার সাথে দুঃখ-দুর্দশা,সমস্যার
কথা বলতেন.হুজুরের কাছে সত্য গোপন করা যায় না.মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায় না.হুজুরের
মুখনিশ্রিত কথায়,পবিত্র হাতের ছোয়ায়,চোখের দৃষ্টির অলৌকিকতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি
হয়েছিল যে, সকাল সন্ধা শত শত মানুষের ভীড় লেগেই থাকত. গনমানুষের মুক্তির
এক অলৌকিক আবাস গৃহ ছিল হুজুর রহ. এর খানকা.খানকা ঘেষে মেহমান খানার কামরায় হুজুর
সাধারনত উপস্থত সকলকে নিয়েই খেতে বসতেন. সকলে
যা খেতেন হুজুর ও তাই খেতেন. নিজের জন্য আলাদা কিছু কিংবা উপস্থির মধ্যে গন্যমান্যদের
আলাদা কিছু তিনি ভাবতেই পারতেন না.খাবার সময়
প্রায়ই দেখা যেত , দু-চার জনের খানা দিয়ে বিশ-ত্রিশ জনের তৃপ্তির সাথে খাওয়ার ঘটনা
প্রায়ই ঘটত.এ ধরনের ঘটনায় মেহমানবৃন্দ যেমন হতবাগ হতেন;তেমনি দরবারে এসে একটি কলা কিংবা দুই কোয়া কমলা উপস্খিত সকলের মধ্যে
বন্টন করার রীতি দেখে অনেকেই আপ্লুত হয়েছেন,সাম্য মৈত্রীর দীক্ষা পেয়েছেন নতুন করে.একটি বাতি যেমন হাজার বাতি জ্বালাতে পারে, হুজুর
রহ. ছিলেন তেমনি এক বাতি যার সংস্পর্শে পথহারা মানুষ পেয়েছেন পথের দিশারি. মূলত হুজুর
রহ. ছিলেন এমন এক পরশ পাথর,মাটিও খাটি হয়েছে যার ছোঁয়ায়.
চলবে………………….
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন